
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নির্বাচনী প্রচারণায় জনতার ঢল নেমেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত নৌকার গণসংযোগ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে দশটায় নাসিক ৯নং ওয়ার্ড তথা সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকা থেকে আইভীর প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু হয়। গণসংযোগ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। দিনভর ওয়ার্ডের এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় হেটে হেটে ভোট চান আইভী, মানুষের সাথে কথা বলেন তিনি। মাঝে নৌকার ২টি ক্যাম্প উদ্বোধন করেন এবং ২টি মাজার জিয়ারত করে দোয়া করেন আইভী।
এসময় আইভী বলেন, আমি সবসময় উন্নয়ন নিয়েই ব্যস্ত থাকি। গত দশ বছরে এই ওয়ার্ডের চিত্র পাল্টে গেছে তা এখানকার বাসিন্দারা ভালো করেই জানে। আগে এই এলাকায় কোনো পাকা রাস্তা ছিলো না, মেয়র হওয়ার পর ৯নং ওয়ার্ড তো ভালো কথা সিদ্ধিরগঞ্জের এমন কোনো ওয়ার্ড নেই যেখানে প্রশস্ত-পাকা রাস্তা, আর সি সি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হয় নাই। সকল জায়গায় সুন্দর রাস্তা নির্মাণ করে, বাতি, ল্যাম্প পোষ্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। জনগন জানে, আইভীর মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের গতি তরাণ্বিত হয়েছে। তাই দলমত নির্বিশেষ সকলেই আমাকে ভোট দিবে।

তৈমুর মেয়র হলে ট্যাক্স মওকুফ করবেন, ওয়াসার বিল মাফ করে দিবেন বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। এটা আদৌ সম্ভব কিনা জানতে চাইলে আইভী বলেন, উনি শুধুই স্ট্যান্ডবাজি করার জন্য মিথ্যাচার করছেন। ট্যাক্স আমরা বাড়াইনি, ট্যাক্স মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাড়ানো হয়। যেটা করা যায় তা হলো, মেয়র পদাধিকার বলে যারা দুর্বল তাদের ১৫ পারসেন্ট ট্যাক্স কমানো যায়, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।
পানির বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতি মাসে দেড় থেকে ২কোটি টাকা পানির বিল দিতে হয় আমাকে তথা সিটি কর্পোরেশনকে। পানির পাম্পগুলোর বিদ্যুত বিল দিতে হয় বিশ থেকে পঁচিশ লাখ টাকা। তিনি কিভাবে এটা মওকুফ করবেন তা আমি জানি না। আমি বলবো এটাই শুধুই মিথ্যাচার, শুধুই স্ট্যান্ডবাজি।
তিনি আরও বলেন, তিনি (তৈমুর) যখন বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান ছিলেন তখন কি বাস ভাড়া কমিয়েছিলেন নাকি বাড়িয়েছিলেন। তিনি তো বলেন তিনি অনেক সরকারের অনেক টাকা আয় করে দিয়েছেন, কিভাবে করেছেন, বাস ভাড়া কমিয়ে কিভাবে আয় করলেন তিনি এ প্রশ্ন রইলো আপনাদের কাছে।
পানির বিষয়ে আইভী আরও বলেন, আপনাদের দোয়া, সমর্থন, ভোট ও আল্লাহর রহমতে যদি আমি পুনরায় নির্বাচিত হই তাহলে শুধু ৯নং ওয়ার্ডই নয় পুরো সিদ্ধিরগঞ্জের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করবো। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পানির পাম্প বসানো হয়েছে। আগামীতে জয়লাভ করলে সকল ওয়ার্ডে এ ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুদ্ধকালীণ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওহাব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোত্তালিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোহর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শহর যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বাবু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রেহানা পারভিন, যুবলীগ নেতা বশির, হিমেল, মাসুদ, বিল্লাল প্রমুখ।