
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আগে দুই/তিনশ টাকা ভাতা পেতো মুক্তিযোদ্ধারা, এখন উনি সেটা ২০ হাজার টাকা করেছে। মা-বোনদের জন্য বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা করেছেন উনি (প্রধানমন্ত্রী)। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা করে দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগকালে এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে জালকুড়ি পূর্বপাড়া মাদবরবাজার এলাকায় এ উঠান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আইভী বলেন, ৯নং ওয়ার্ডে গত দশ বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে আমি দেখলাম। ২০১১ সালে আমি যখন এখানে ভোট চাইতে আসতাম তখন অনেক জায়গায় পানি কাঁদার মধ্যে হেটে হেট যেতে হয়েছে। এরকম রাস্তা-ঘাট ড্রেন কিছুই ছিলো না। কিন্তু দশ বছরে প্রায় একশ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আপনাদের ক্যানেল পাড়ে যে কতো বড় রাস্তা হয়েছে তা নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, এখানে যে ডাম্পিং স্পট হচ্ছে তার জন্য আমরা ২৩ একর জায়গা আমরা একোয়ার করেছি। ঐখানে বাংলাদেশের মধ্যে আপনাদের এখানেই প্রথম ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, ইনশ্আাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছিলো এই জায়গার জন্য। আগামী ৬ মাসের মধ্যে চাইনিজ একটি কোম্পানি কাজ শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা বক্তব্য দিয়েছেন তারা নিজেরাই বললেন আপনাদের আর কোনো চাহিদা কিছুই নাই। রাস্তা-ঘাট সবই হয়েছ্।ে আমি সকাল থেকে এই ওয়ার্ডে ঘুরে যা দেখলাম স্কুল, পার্ক-মাঠ চেয়েছে এটা এমন কোনো কঠিন কাজ না। একশ কোটি টাকা দিয়ে যদি রাস্তা করতে পারি, তাহলে দুই, চার, পাঁচ-দশ কোটি টাকা দিয়ে খেলার মাঠ আর পার্ক করে দিতে পারবো ইনশ্আাল্লাহ।
মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেছেন উনাদের বসার জন্য জায়গা করে দেয়ার। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, নির্বাচিত হলে একতলা না দোতলা করে অফিস করে দিবো। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আগে দুই/তিনশ টাকা ভাতা পেতো মুক্তিযোদ্ধারা, এখন উনি সেটা ২০ হাজার টাকা করেছে। মা-বোনদের জন্য বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা করেছেন উনি (প্রধানমন্ত্রী)। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ট্যাক্স মওকুফ করে দিয়েছি। ট্যাক্সের টাকা তাদের দিতে হয় না, পানির বিলও দিতে হবে না এটাও আমি ঘোষণা দিয়েছি। আপনাদের জন্য বড় একটা ঈদগাহ করে দিয়েছি, কবরস্থানের কাজও করেছি। আল্লাহ যদি হায়াতে বাঁচিয়ে রাখেন এবং আপনাদের ভোটে যদি আবার নির্বাচিত হয়ে আসতে পারি তাহলে ইনশ্আাল্লাহ আপনাদের যে ছোট ছোট কাজগুলো আছে সেগুলো করে দিবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুদ্ধকালীণ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওহাব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোত্তালিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোহর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শহর যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বাবু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রেহানা পারভিন, যুবলীগ নেতা বশির, হিমেল প্রমুখ।