
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের কৃতি সন্তান, জনপ্রিয়, জননন্দিত ও জনসমর্থিত হেভিওয়েট কাউন্সিলর প্রার্থী কবির হোসেন বলেছেন, আমি আপনাদেরই সন্তান, অনেকেই আমাকে চিনেন, অনেকে হয়তো চিনেননা। আমার সম্পর্কে খোঁজ নিবেন, যে আমি কেমন? যাচাই-বাছাই করে যদি আমাকে যোগ্য মনে হয় তাহলে আমাকে অবশ্যই আপনারা ভোট দিবেন এই আশা ব্যক্ত করছি।
গতকাল শুক্রবার (০৭ জানয়ারী) সন্ধ্যায় ওয়ার্ডের দেওভোগে শুক্কুরকারী মসজিদ এলাকায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অনু্ষ্ঠানের শুরুতে এ এলাকার মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

উঠান বৈঠকে কবির হোসেন বলেন, আমি কোনো জমিদারের সন্তান না, আমি একজন গরীবের সন্তান। আপনারা অনেকেই আমাকে চিনেন এবং আমার সম্পর্কে জানেন। আমার বাবা যখন মারা যায়, তখন আমাদের ঘরে মাত্র পাঁচ’শ টাকা ছিলো। আমাদের ঘরটা ছিলো চারদিকে বেড়া, উপরে টিন, আমাদের ঘরে একটা ফ্যানও ছিলো না, আমরা কখনো ফ্যানের বাতাস পাই নাই, হাতপাখা দিয়ে আমরা ঘুমাইছি।

তিনি বলেন, এরকমও দিন গিয়েছে যখন আমি দু’বেলা খেতে পারি নাই, ক্ষুধার্ত ছিলাম, কিন্তু কারো কাছে একটি টাকাও চাইতে পারি নাই। কেননা আমি স্টুডেন্ট ছিলাম, লজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারি না, ঘরের মধ্যে ২ কেজি চালও ছিলো না। আমি ঐ লেভেল থেকে আজকে আমি এই জায়গায় এসেছি। আজ আমি গার্মেন্টসের মালিক হয়েছি, বিকেএমইএ’র পরিচালক হয়েছি, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি এবং দেওভোগ পানির ট্যাংকি বাইতুস সালাত জামে মসজিদের সভাপতি হয়েছি। আমি আল্লাহ্’র ঘরের সভাপতি, এর চাইতে বড় সম্মান পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারেনা।
ক্ষুধার কষ্ট বুঝি তাই মানুষের সেবা করার চেষ্টা করি উল্লেখ করে কবির হোসেন বলেন, আমি আল্লাহ’কে স্বাক্ষি রেখে বলছি, কোনো মা, ভাই-বোন যারাই আমার কাছে যায়, আমি কিন্তু কোনোদিন নির্বাচনের উদ্দেশ্যে কাউকে সাহায্য করিনা, চুপ করে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কেননা আমি নিজে ক্ষুধার্ত ছিলাম, আরেকজনের ক্ষুধার কষ্টটা আমি বুঝি। সেখান থেকেই আমি সাহায্য করি।

যাচাই-বাছাই করে যোগ্য মনে হলে ব্যাডমিন্টন প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান, অনেকেই আমাকে চিনেন, অনেকে হয়তো চিনেননা। আমার সম্পর্কে খোঁজ নিবেন, যে আমি কেমন? যাচাই-বাছাই করে যদি আমাকে যোগ্য মনে হয় তাহলে দয়া করে আমার ব্যাডমিন্টন প্রতীকে একটা ভোট দিবেন। পাশাপাশি আপনাদের আত্মীয় স্বজনকেও বলে দিবেন তারা যেন আমাকে ভোট দেয়। কেননা, আমি মনেকরি, ব্যাডমিন্টনের বিজয় মানে ১৬নং ওয়ার্ডবাসী বিজয়, আপনাদের সকলের বিজয়।

টাকার কাছে ভোট বিক্রি না করার আহবান জানিয়ে ভোটারদের উদ্দেশ্যে কবির হোসেন বলেন, আমি মুসলমান। আমার নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) খিদার জ¦ালায় পেটে পাথর বেধে চলেছে। কিন্তু নিজের আর্দশকে বিক্রি করে নাই। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ সেই নবীর উম্মুদ যদি হয়ে থাকেন, তাহলে আপনারাও টাকার কাছে নিজেদের আদর্শকে বিক্রি করবেন না। ভোট আমানত, এর খেয়ানত করবেন না, ভোট বিক্রি না করে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিবেন।

নির্বাচিত হই বা না হই সবসময় ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকবো উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা সারাজীবন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকে তারাই নির্বাচন এলে ভোট কেনার চেষ্টা করে। আর যারা সারাজীবন মানুষের পাশে থাকে, তারা কখনও টাকা দিয়ে ভোট কিনবে না। তাই বলছি, টাকা কাছে ভোট বিক্রি না করে যাকে যোগ্য মনে করেন তাকে ভোট দিবেন। এখন আমি চাই মানুষের সেবা করতে। কারণ, মানুষের সেবা করলে আমি আনন্দ পাই। আমি কথা দিচ্ছি, আমি কাউন্সিলর হই আর হই আপনাদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
স্থানীয় মুরুব্বী আহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, মো: রতন, মো: স্বপন, মো: কবির, মো: আরজু ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।