
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে চালু হয়েছে চারদিন ব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম। গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছিলো এ কার্যক্রমের প্রথম দিন।
এ গণটিকা কার্যক্রমের প্রথমদিন নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের উপচে পড়া ভীড়। অনেকেই জানান, টিকা নিতে চাচ্ছিলেন কিন্তু সময়ের কারণে বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে অনেকেই এতোদিন টিকা নিতে পারেন নি। কিন্তু এবার প্রক্রিয়া সহজতর হওয়ায়, সু-শৃঙ্খল পরিবেশে টিকা নিতে পারছেন তারা।

এসময় ভ্যাকসিন নেয়া শেষে এক নারী জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নাসিক মেয়র ও ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না ভাইয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কারণে, মেয়রের দিক-নির্দেশনায় এবং কামরুল হাসান মুন্না ভাইয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ আমিসহ এখানে আসা অনেকেই টিকা নিতে পেরেছি। তাই আবারও তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

শুধু মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকা নিতে পেরে এক ব্যক্তি বলেন, আগে অনেক কাগজপত্র লাগতো। সব কাগজপত্র না থাকায় টিকা নিতে পারি নি। তবে এবার টিকা নিতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, তাছাড়া অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে টিকা দেয়া হচ্ছে এ ওয়ার্ডে। আর এটা শুধুমাত্র কামরুল হাসান মুন্না ভাই কাউন্সিলর হওয়ার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে তিনি যখন কাউন্সিলর ছিলেন না তখনও আমরা তাকে পাশে পেয়েছি।

গণটিকার বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুল হাসান মুন্না বলেন, এখানে যে গণটিকা কার্যক্রম চলছে তা আপনারা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে, সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাড়িয়ে টিকা গ্রহন করছে। যারা ভ্যাকসিন দিয়ে দিচ্ছেন তারা, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, পুলিশসহ নিজস্ব ভলেন্টিয়ারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দরভাবে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাকী তিনদিনও একইভাবে টিকা দেয়া হবে।
দ্বিতীয় ডোজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজ নিজ মোবাইল নম্বরে অটোমেটিকভাবে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ম্যাসেজ আসবে এবং আমরা সেকেন্ড ডোজের জন্য সেকেন্ড প্রোগ্রাম করবো।

উল্লেখ্য, যারা এখনো টিকা নেন নি বা টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসেননি তাদের জন্য ভ্যাকসিনেশন পদ্ধতি আরো সহজ করার লক্ষ্যে এবার জন্মনিবন্ধন বা ভোটার আইডি সহ অন্য যে কোনো সার্টিফিকেট, ডকুমেন্ট ছাড়াই শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর দিয়ে চালু করা হয় এ টিকা কার্যক্রম। অর্থাৎ শুধু মোবাইল নম্বর দিয়েই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন, পরবর্তীতে আসবে দ্বিতীয় ডোজের এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা।