বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার কাউন্সিলর বাবু

384

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছে একটি মহল এমনটাই দাবী ১৭নং ওয়ার্ডবাসীর। তুচ্ছ ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে বারবার কাউন্সিলর বাবুর বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত কতিপয় অপসাংবাদিকরা এমনটাই দাবী সাধারণ জনগনের।

আজ বৃহস্পতিবার চারুকলা ইন্সটিটিউট ভবন উদ্বোধনে নারায়ণগঞ্জে আসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। ভবন উদ্বোধনের পূর্বে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় প্রবেশ করার সময় সকলের কাছেই তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্য সকল কাউন্সিলরদের মতো কাউন্সিলর বাবুর কাছেও তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। তিনি কাউন্সিলর পরিচয় দিলে তার কাছে অস্ত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আছে।

তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র বাইরে রেখে ভিতরে প্রবেশ করার অনুরোধ করলে কাউন্সিলর বাবু তার গাড়িতে অস্ত্র রেখে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। তবে, এ ঘটনাকে ভিন্ন মোড় দিতে তাকে প্রবেশ করা হয়নি এমন উদ্ভট সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কাউন্সিলর বাবু ও তার সমর্থকরা।

কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বলেন, কোর্টে হাজিরা ছিলো বিধায় হাজিরা শেষ করেই তড়িঘড়ি করে সভায় উপস্থিত হই। প্রবেশের পর মন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিচয় জানতে চাইলে কাউন্সিলর পরিচয় দেই। তারা অস্ত্র আছে কিনা জানতে চাইলে অস্ত্র আছে বলে উত্তর দিলে তারা অস্ত্র বাইরে রেখে ভিতরে প্রবেশ করতে অনুরোধ করলে আমি অস্ত্র গাড়িতে রেখে এসে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হই।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন, সমাজের আয়না। তাদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ ভালো কিছু আশা করে। কিন্তু যখন দেখি সাংবাদিক নামধারী ও কার্ডধারী অপসাংবাদিকরা সত্য ঘটনাকে আড়াল করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে তখন বড় কষ্ট পাই।

এদিকে, সভায় উপস্থিত অন্যান্য কাউন্সিলরদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এটি অত্যন্ত তুচ্ছ একটি ঘটনা। সেখানে আমরাও উপস্থিত ছিলাম কাউন্সিলর বাবুকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাতে আমরাও মর্মাহত। ঘটনা যা ঘটেছে তা না লিখে অতিরঞ্জিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কাউন্সিলর বাবু তো সভায় উপস্থিত ছিলো তাহলে সভায় প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি এমন মিথ্যা সংবাদের কারণ কি জানতে চান তারা?

তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের উচিৎ তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন করা। একজন কাউন্সিলর বা যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মনগড়া কথা লিখলে তো আর সঠিক সাংবাদিকতার গুনাগুন প্রকাশ পায় না বরং সাধারণ জনগনের কাছে তারা অপসাংবাদিক হিসাবেই চিহ্নিত হবেন বলেও জানান তারা।

এদিকে ১৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগনের দাবি, কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু একজন জনদরদী কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধি। যে কোনো বিপদে-আপদে তিনি সবসময় ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকেন। এমনকি করোনা মহামারীর সময়ে সরকারী ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১২ হাজার মানুষের মাঝে তিন/চার ধাপে খাদ্য সামগ্রীর উপহার পৌছে দিয়ে সমগ্র দেশে খাবারের ফেরিওয়ালা খ্যাতি অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিবছর একবার ১২ হাজার মানুষের মাঝে মাছ, একবার শীতবস্ত্র, দুবার ঈদ খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা সহ সারা বছরই ওয়ার্ডবাসীর পাশে দাড়ান। এমন একজন জনপ্রিয় ও জননন্দিত কাউন্সিলরকে বারবার হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।